সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। আর বিমানবন্দর আবাসিক এলাকার উচু-নীচু পাহাড় বেষ্টিত নিরিবিলি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ৯০ (নববই) ভাগ শিক্ষার্থীই ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে আসে। বেশীরভাগ শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে আশপাশের গ্রামগুলো হতে আসে। বিমানবন্দর আবাসিক এলাকায় বসবাসরত ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকুরীরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিশু-সন্তানরাও অত্র বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলো হলো-বিমানবন্দর আ/এ, কাকুয়ারপাড়, কেওয়াছড়া চা-বাগান ও বড়শলা (আংশিক)। কেওয়াছড়া চা-বাগান ব্যতিত অবশিষ্ট গ্রামগুলোর অভিভাবকদের আর্থ সামাজিক অবস্থা মোটামুটি ভাল। ‘এ’ গ্রেডভূক্ত এ বিদ্যালয়টি দুই শিফ্টে পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাদা ও নীল রং এর ইউনিফর্ম পরিধান করে।
১৯৪২ সালে যখন বৃটিশরা এখানে বিমানবন্দর স্থাপন করে তখন এর আশপাশে কোন স্কুল ছিল না। বিশাল জায়গা নিয়ে তারা এখানে বিমানবন্দর স্থাপন করে। ১৯৫৮ সালে অত্র এলাকার কয়েকজন মানুষ উদ্যোগী হয়ে বিমানবন্দর এলাকার ভিতরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৬১ সালে বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু হলে বিদ্যালয়ের নামের সাথে ‘বিমানবন্দর’ শব্দটি যুক্ত হয়ে বিদ্যালয়ের নামকরণ হয় ‘বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
অবকাঠামোঃ
১৯৫৮ সালে বিদ্যালয়টি বিমানবন্দরের পাশেই উচু পাহাড়ের উপর ৩০ শতক জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তর করা হয়। আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরে ৫০ শতক জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি পুনরায় নির্মাণ করা হলে এর অবকাঠামোগত পরিবর্তন হয়। এল (L) সাইজ আকারের নতুন ভবন নির্মাণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা:
· বিশাল আয়তনের মাঠ।
· হলরুম সহ ৭টি কক্ষ।
· নিরাপদ পানীয় জল।
· উন্নতমানের স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
· বিশাল উচু সীমানা প্রাচীর।
· সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা (জেনারেটর সংযোগ)।
· সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী।
· আকর্ষনীয় বৃহদাকার শহীদ মিনার।
অবকাঠামোগত অসুবিধা:
· ভবনের দুর্বল ভিত্তি।
· ছোট ছোট শ্রেণিকক্ষ।
নুতন ভবন নির্মাণের ফলে অবকাঠামোগত অনেক পরিবর্তন/সুবিধা হয় বা পূর্বে ছিলনা। বিদ্যালয়ের পাকা ভবনে ৪টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি লাইব্রেরী, ১টি অফিসকক্ষ ও ১টি হলরুম বিদ্যামান। বিদ্যালয়ে ৬০ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক, ১৫টি চেয়ার, ৬টি টেবিল, ৪টি স্টিলের আলমিরা ও ২টি কাঠের সেলফ রয়েছে।
ভূমিঃ
বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ শতক ভূমি রয়েছে। বড়শলা মৌজার ৩০০১নং দাগে বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
ভূমি | ৫০ শতক (প্রায়) |
মৌজা | বড়শলা |
দাগ নং | ৩০০১ |
জে,এল, নং | ৫৪ |
দাতা | ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট। |
১৯৫৮ সালে বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার মান্যবর শ্রী গিরিন্দ্র কুমার দেব প্রথমে এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে বিমানবন্দরের পাশেই টিলার উপর বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন। তারপর ১৯৬২ সালে শ্রী গিরিন্দ্র কুমার দেবের বড় সন্তান শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব বিমানবন্দর অফিসের কয়েকজন ষ্টাফকে নিয়ে বাঁশ, বেত ও ছন দিয়ে বিদ্যালয়ের ঘর তৈরি করেন। উল্লেখ্য শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব তৎকালীন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগে চাকুরী করতেন। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৬২ সালে সিভিল এভিয়েশনের প্রধান জনাব এম এ ডগার বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন এবং বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুরোদমে প্রতিষ্ঠিত করেন।
১৯৪২ সালে যখন বৃটিশরা এখানে বিমানবন্দর স্থাপন করে তখন এর আশেপাশে কোন বিদ্যালয় ছিল না। ১৯৫৮ সালে স্থানীয় মান্যবর শ্রী গিরিন্দ্র কুমার দেব এলাকার কয়েজনকে নিয়ে বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী টিলার উপর স্কুলের ভিত্তি স্থাপন করেন। শ্রী গিরিন্দ্র কুমার দেব এর বড় সন্তান শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব তখন বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগে চাকুরী করতেন। ১৯৬২ সালে শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব তার কয়েকজন অফিস ষ্টাফদের নিয়ে বাঁশ, বেত ও ছন দিয়ে একটি স্কুল ঘর প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন বিমানবন্দর সিভিল এভিয়েশনের প্রধান জনাব এম এ ডগার ১৯৬২ সালে বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। অফিস ষ্টাফদের ও এলাকার কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বিমানবন্দরে চাকুরীরত ষ্টাফরাই তখন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তখনও গঠিত হয়নি। এই সুযোগে বিমানবন্দর এলাকার আশেপাশের কিছু লোক বিদ্যালয়কে স্থানান্তর করে চেঙ্গরখালের পাড়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু তৎকালীন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক জনাব এম এ খান ও এরোড্রাম অফিসার জনাব আব্দুল হামিদ পত্র পত্রিকায় স্কুলের পক্ষে অনেক লেখালেখি করেন। তাদের এই লেখালেখির কারণে বিদ্যালয় স্থানান্তরের পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। তারপরই বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক জনাব এম এ খানকে সভাপতি করে প্রথম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব ঐ কমিটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের উদ্যেগেই ১৯৬৫ সালে বিমানবন্দরের পার্শবর্তী টিলার উপর বিদ্যালয়টিকে পাকা ভবনে রূপান্তর করা হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এয়ারবাস ৩১০ (সুপরিসর বিমান) চলাচলের মাধ্যমে ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হয়। বিমান ল্যান্ডিং এপ্রোন কাছাকাছি থাকায় এক সময় বিদ্যালয়টি ঝূকিপূর্ণ হয়ে উঠে। বিদ্যালয়ের টিলার উপর অসংখ্যা দর্শণার্থী মানুষের পদচারনা থাকায় বিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। বিদ্যালয়ের আশেপাশে নানাবিধ সমস্যা তৈরী হওয়ায় এবং শিশু ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ২০১০ সালে বিদ্যালয়টিকে আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় ৫০ শতক জমি নিয়ে বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মিত হয়।
তথ্যসূত্র:শ্রী গোপেন্দ্র কুমার দেব, কাকুয়ারপাড়, ক্যাডেট কলেজ, সিলেট।
মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা:
২০১৪ সালের শ্রেনিভিত্তিক মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা নিম্নরূপঃ
শ্রেণী | মুসলিম | হিন্দু | সর্বমোট | ||||||
বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | |
শিশু শ্রেণী | ১২ | ১০ | ২২ | ০৩ | ০৮ | ১১ | ১৫ | ১৮ | ৩৩ |
১ম | ১৮ | ২১ | ৩৯ | ২৩ | ১২ | ৩৫ | ৪১ | ৩৩ | ৭৪ |
২য় | ২৬ | ১৯ | ৪৫ | ১৭ | ১১ | ২৮ | ৪৩ | ৩০ | ৭৩ |
৩য় | ৩৪ | ৪৮ | ৮২ | ১৭ | ০৮ | ২৫ | ৫১ | ৫৬ | ১০৭ |
৪র্থ | ৩১ | ২৭ | ৫৮ | ১১ | ০৮ | ১৯ | ৪২ | ৩৫ | ৭৭ |
৫ম | ১২ | ১৯ | ৩১ | ০৩ | ০৩ | ০৬ | ১৫ | ২২ | ৩৭ |
মোট | ১৩৩ | ১৪৪ | ২৭৭ | ৭৪ | ৫০ | ১২৪ | ২০৭ | ১৯৪ | ৪০১ |
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণি ও বিভিন্ন সাল ভিত্তিক):
সাল
| ১ম শ্রেণী | ২য় শ্রেণী | ৩য় শ্রেণী | ৪র্থ শ্রেণী | ৫ম শ্রেণী | ||||||||||
বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | বালক | বালিকা | মোট | |
২০১০ | ২৪ | ৩৩ | ৫৭ | ৩৭ | ২৪ | ৬১ | ৩৯ | ৩৫ | ৭৪ | ৩১ | ৩৭ | ৬৮ | ১১ | ২০ | ৩১ |
২০১১ | ৩৮ | ৩৩ | ৭১ | ২৯ | ৩০ | ৫৯ | ৪২ | ৩১ | ৭৩ | ৩১ | ৩১ | ৬২ | ২৫ | ২৬ | ৫১ |
২০১২ | ৩৬ | ৫৪ | ৯০ | ৪০ | ৩২ | ৭২ | ৪০ | ৩৪ | ৭৪ | ৩৩ | ২৭ | ৬০ | ১৮ | ২৬ | ৪৪ |
২০১৩ | ৪০ | ২৪ | ৬৪ | ৪৩ | ৫২ | ৯৫ | ৫২ | ৩৭ | ৮৯ | ২৫ | ৩২ | ৫৭ | ২৯ | ২৩ | ৫২ |
২০১৪ | ৪১ | ৩৩ | ৭৪ | ৪৩ | ৩০ | ৭৩ | ৫১ | ৫৬ | ১০৭ | ৪২ | ৩৫ | ৭৭ | ২২ | ১৫ | ৩৭ |
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি:
নাম : মোঃ হাফিজ আহমেদ
পদবী : সভাপতি, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
পেশা : চাকুরী (বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এম.এস.সি (পদার্থ)
ইমেইল : hafizcaab@yahoo.com
মোবাইল : ০১৭১৫০১৮০২৭
ভ্রমণ :ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, হংকং, মালয়েশিয়া ম্যাকাও, সিংগাপুর, দুবাই, সৌদিআরব, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানী, ফ্রান্স, সুইডেন, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্য :
ক্রঃনং | সদস্যদের নাম | ঠিকানা | পদবী |
০১ | মোঃ হাফিজ আহমেদ | ৭৩২ বেরীরচর, মৌলভীবাজার, সিলেট। | সভাপতি |
০২ | মোহাম্মদ অলিউল্লাহ | বিমানবন্দর আ/এ, ক্যাডেট কলেজ, সিলেট। | সহ-সভাপতি |
০৩ | গনেশ কুমার পাল | নূরানী ১১/১৬, সুবিদ বাজার, সিলেট। | সদস্য |
০৪ | সাহানারা বেগম | বন্ধন-ই-১৫/২, খাসদবীর, সিলেট। | সদস্য |
০৫ | জহিরুল হক | নলডুগী, রামপুরা বাজার, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। | সদস্য |
০৬ | নজমুল আলম | কাকুয়ারপাড়, ক্যাডেট কলেজ, সিলেট। | সদস্য |
০৭ | সোহরাব হোসেন | শুভেচ্ছা-২৫৭, শেখঘাট, সিলেট। | সদস্য |
০৮ | খলিলুর রহমান | ফদ্রখলা, রামশ্রী, বাহুবল, হবিগঞ্জ। | সদস্য |
০৯ | খোরশেদা খাতুন | ধোপাগুল, সালুটিকর, সদর, সিলেট। | সদস্য |
১০ | শিউলি বেগম | মহেশপুর, কামালবাজার, মহাম্মদপুর, মাগুরা। | সদস্য |
১১ | সাহিদা আক্তার | পাদুয়াবায়রা, কোনাপাড়া, ইশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ | সদস্য |
১২ | জেসমিন সুলতানা | বিমানবন্দর আ/এ, ক্যাডেট কলেজ, সিলেট | সদস্য |
বিগত সমাপনী/পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল :
সাল | ডিআর ভুক্ত | অংশগ্রহণ কারী | ১ম বিভাগ | ২য় বিভাগ | ৩য় বিভাগ | কৃতকার্য | পাশের হার | |||
২০০৯ | ৪২ | ৪২ | ২৭ | ১৪ | ০১ | ৪২ | ১০০% | |||
২০১০ | ৩১ | ৩০ | ২২ | ০৮ | -- | ৩০ | ১০০% | |||
২০১১ | ৫১ | ৫১ | এ+ | এ | এ- | বি | সি | ডি | ৫১ | ১০০% |
০৩ | ১৪ | ১০ | ১২ | ১২ | -- | |||||
২০১২ | ৪৪ | ৪৩ | ০১ | ১৫ | ১৭ | ০৮ | ০২ | -- | ৪৪ | ১০০% |
২০১৩ | ৫২ | ৫২ | -- | ১১ | ১২ | ১৩ | ০৬ | -- | ৫২ | ১০০% |
শিক্ষাবৃত্তির তথ্য (৫ম শ্রেণি) :
ক্রঃনং | ছাত্র-ছাত্রীর নাম | সাল | গ্রেড |
০১ | কানিজ ফাতেমা জেবিন | ২০০৫ | সাধারণ |
০২ | কাজী আব্দুল্লা মারজুক | ২০০৬ | ,, |
০৩ | সুমাইয়া আক্তার মিতু | ২০১১ | ,, |
০৪ | মোঃ মহিবুল হোসেন | ২০১২ | ,, |
নিম্নে বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন তুলে ধরা হলোঃ
· প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা ৭ (সাত) বছর ধারাবাহিকভাবে শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করে।
· ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়।
· মার্কস অলরাউন্ডার ২০১৩ কুইজ প্রতিযোগীতায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রী লাবনী আক্তার বর্ষা উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করে।
· জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ২০১৩ সালে ৪র্থ শ্রেণির মাজহারুল ইসলাম ও সুমন আহমেদ ছড়াগান ও পল্লীগীতিতে উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করে।
· বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টে ২০১৩ সালে বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
· ২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাসের কৃতিত্বের জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বিদ্যালয়কে ‘‘ধন্যবাদ সনদ’’ দেয়া হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবাসিক এলাকার উচু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত মনোরম নিরিবিলি পরিবেশে বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ও গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টিকে সিলেটের একটি আকর্ষনীয় বিদ্যালয়ে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা হলো নিম্নরূপঃ
· মাটি ভরাট করে বিশাল মাঠের সৌন্দর্য্য বর্ধিতকরণ।
· বিদ্যালয় ও মাঠের চারিদিকে বৃক্ষরোপন।
· বিদ্যালয় সীমানার ভেতরে শিশুবান্ধব পার্ক তৈরি।
· মাঠের একপাশে দৃষ্টিনন্দন বাগান তৈরি।
· বিদ্যালয় সীমানার বাহিরে শিশু উপযোগী পার্ক তৈরি।
· সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালুকরণ।
· ভবণ নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও পাঠদান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কক্ষ চালু।
· শিখন উপযোগী পর্যাপ্ত আসবাবপত্র তৈরি।
বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতাই গুরুত্বপূর্ণ। সবার সহযোগিতায় ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি অনেক দুর এগিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সারা বিশ্বেই পরিচিত। বাংলাদেশের সচেতন প্রতিটি মানুষই নামটি জানেন। সিলেট শহরের আম্ভরখানা থেকে সিএনজি দ্বারা সরাসরি বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছা যায়। আম্বরখানা থেকে বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) পর্যন্ত সিএনজির নির্ধারিত ভাড়া ১৫ (পনের) টাকা। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ের দুরত্ব প্রায় ১৫ কিঃমিঃ। বিদ্যালয়টি সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে অবস্থিত।
| |||||
যোগাযোগঃ
On-line Address:
এ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তাদের মধ্যে শিশির কুমার দে সিলেট বন বিভাগ, অনুপ কুমার দেব স্বাস্থ্যবিভাগ, ইদ্রিস মিয়া ও কোরবান আলী-বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স, নির্মল কুমার দেব ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত আছেন। বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রবাসেও আছেন। আজিজুর রহমান খোকন, আমেরিকা ও ইউসুফ মিয়া বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী। বিদ্যালয়ের এ রকম অসংখ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ও প্রতিষ্ঠিত আছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস