দু'টি পাতা একটি কুড়ির দেশ হযরত শাহজালাল (র) এর পূণ্যভূমি প্রাকৃতিক সৌন্দযের অপূব লীলা নিকেতন সিলেট জেলা। এ জেলার প্রাণ কেন্দ্র জিন্দাবাজারে কয়েক একর জমির উপর মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে শতাবষের পুরানো, সিলেট - এর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়"সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়" সিলেট। সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা-দীক্ষা, শিষ্ঠাচার, খেলাধূলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা কৃতিত্তের সাথে সাফল্য অজন করে আসছে। বিদ্যালয়টি সিলেট বিভাগের নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে এক বিরাট ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে জাতীয় পযায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম কেবলমাত্র শিক্ষাদান ও জ্ঞানার্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে , নিয়মিতভাবে বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয় বার্ষিকী প্রকাশ করা হয়। বিদ্যালয় বার্ষিকী কোনো বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ রুপরেখার পরিচয় বহন করে। এজন্য এখানে শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বহুবিদ কার্যাবলীর এবং প্রয়োজনীয় তহবিল সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাঠক সমীপে তুলে ধরার চেষ্ঠা করছি।
এ সব ছাত্রীরা কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যদি তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ ও সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারে তবেই সার্থক হবে আমাদের সব আয়োজন ও প্রয়াস। সে জন্য প্রয়োজন, শিক্ষাজীবনে ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস সাধনা। এক্ষেত্রে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমি বিশ্বাস করি, প্রতষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে রয়েছে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার সুস্থ মানসিকতা।আমি আন্তরিকভাবে মনে করি, একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থাকবে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এবং তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য যৌক্তিক নিয়মকানুন। কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকলে নিষ্ঠার সাথে সুসম্পন্ন করবে এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রবর্তিত নিয়মকানুন শ্রদ্ধার সাথে তারা মেনে চলবে এ আমার বিশ্বাস।সবার সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রয়াসেই প্রতষ্ঠানটির গৌরব অক্ষুণ্ন থাকবে।
একবিংশ শতাব্দির চ্যালেন্জ মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী ও কার্যকারী শিক্ষা বর্তমান সময়ের দাবি । শুধু পাঠ্য-পুস্তকের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান দ্বারা কেউ নিজেকে স্বয়ং সম্পূর্নভাবে দাবি করতে পারবেনা, এর জন্য প্রয়োজন হবে তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, সাহিত্য সংস্কৃতি, অর্থনীতির ও সামাজিকতার বিশ্বায়ন জ্ঞান । তাই শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলার জন্য আমরা পাঠ্য পুস্তকের বাইরেও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির জ্ঞান , বৈজ্ঞানিক ব্যবহারিক জ্ঞান, সাংস্কৃতিক জ্ঞানের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষাদান করে আসছি । প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব । ল্যাব দুটিতে রয়েছে সার্ভার কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ । ল্যাব দুটি তত্বাবধায়নের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক মনোনীত একজন সহকারী প্রোগ্রামার এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক ও একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট । প্রতিযোগিতামূলক আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষার্থীদের একজন যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলার জন্য বয়ে আনবে সন্মান এবং বাংলাদেশ পাবে বিশ্বের দরবারে একটি জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাড়ানোর গৌরব । সর্বপরি সকলের সহযোগিতা ও ভালবাসা নিয়ে অগ্রসর হতে চাই সামনের দিকে । গড়ো তুলতে চাই ত্রিশ লক্ষ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বপ্নের সোনার বাংলা ।
ক্রমিক নং | শেণীর নাম | ছাত্র | ছাত্রী |
০১ | প্রথম | ৮৯ | ৫০ |
০২ | দ্বিতীয় | ৬৯ | ৪৮ |
০৩ | তৃতীয় | ৫৯ | ৬২ |
০৪ | চতুর্থ | ৮০ | ৭৬ |
০৫ | পঞ্চম | ৬২ | ৭৮ |
বিগত পাঁচ বছরের শ্রেণী ভিত্তিক ফলাফল
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | পাশের হার | সাল |
৯৪ | ৭৮% | ২০০৯ |
১১৩ | ৬৯% | ২০১০ |
১২৬ | ৬৪% | ২০১১ |
১৩৭ | ৭৯% | ২০১২ |
১২৭ | ৮৩% | ২০১৩ |
১। সরকার থেকে প্রত্যেক শেণীর বই বিনামূল্যে বিতরণ।
২। সরকার থেকে উপস্থিতির উপর মাসে টাকা প্রদান।
৩। এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব বা সমিতি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী জন্য বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করে।
০১। সমাপনি পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন।
০২। গ্রামের মানুষকে সচেতন করার জন্য শিশুদের শিক্ষাদেয়া ।
০৩। উল্লেখিত স্কুলের একটি সাহিত্য পাটাগার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
০৪। একটি খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
০৫। একটি শহীদ মিনার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
০৬। প্রতি বৎসর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহযেগিীতার জন্য একটি ফান্ড গঠন।
সিলেট শহর কাছাকাছি বিদ্যালয়টিঅবস্থিত ।
বাহন : সি এন জি সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল ।
সিলেট শহর থেকে মাত্র ৬ কি:মি: দূরে মাদ্রাসাটি অবস্থিত ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস