সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের আইডি নম্বর-1000, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নম্বর-1707, কলেজের EIIN নম্বর- 130450কলেজের উপবৃত্তি কোড-6506207, জিপিএস কোড-৪৭২(N-24.53.49.9 এবং E-091-54.14.6), প্রতিষ্ঠান কোড-069162403583201।
কলেজটি সিলেট মহানগরীর কেন্দ্রবিন্দু নগর ভবন থেকে পাঁচ কিঃমিঃ পূর্বে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে ছোট ছোট টিলাভূমির উপরে স্থাপিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ও সম্পদে পরির্পূর্ণ বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের একটি অনন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ‘সিলেট সরকারি কলেজ’। মেধা-মনন, চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুশীলনের এক বিকাশমান বিদ্যাপীট। জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সমভাবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সৃষ্টি করে চলছে, জন্ম দিয়েছে অনেক বরেণ্য ব্যক্তির। সৃজনশলি-মননশীল ও প্রজ্ঞাবান অধ্যাপকবৃন্দের ব্যক্তিত্বের প্রভায় শিক্ষার্থীদের অন্তর-আত্মা আলোকিত হয়ে উঠেছে। আর তারা শিক্ষা, সাহিত্য- সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের আলোকে নিজেকে আধুনিক নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন।
১৯৬৪ সালে স্থাপিত এ কলেজটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘মুরারি চাঁদ উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় সিলেট’। ১৯৬৬ সালের জুলাই থেকে মানবিক ও বাণিজ্য শাখা নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু এবং পরবর্তীকালে বিজ্ঞান শাখা চালু হয়। কলেজটি জন্মলগ্ন থেকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কো এডুকেশন চালু থাকায় নারী শিক্ষা প্রসারে ও কলেজটি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
১৯৮৮ সাল থেকে স্নাতক পর্যায়ে বি.এ, বি.এস.এস ও বি.বি.এস কোর্স চালু করা হয়। বিগত ৩১.১২.১৯৮৮ তারিখে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক আদেশ বলে ‘মুরারি চাঁদ উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয়’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘সিলেট সরকারি কলেজ’।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শ্রেণিভিত্তিকঃ
শ্রেণি | বালক | বালিকা | মোট |
উচ্চমাধ্যমিক একাদশ | ৭৪৮ | ১৫২ | ৯০০ |
উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ | ৭২৫ | ১৬৫ | ৮৯০ |
স্নাতক পাস ১ম বর্ষ | ৯৫৭ | ৩০৪ | ১২৬১ |
স্নাতক পাস ২য় বর্ষ | ৫৯৯ | ১৪৭ | ৭৪৬ |
স্নাতক পাস ৩য় বর্ষ | ২৭১ | ৫৫ | ৩২৬ |
বর্তমান পরিচালনা কমিটিঃ
ক্রমিক নং | নাম | পদবী | মোবাইল নম্বর |
০১ |
|
|
|
০২ |
|
|
|
০৩ |
|
|
|
০৪ |
|
|
|
০৫ | প্রযোজ্য নয় | ||
০৬ |
|
|
|
০৭ |
|
|
|
০৮ |
|
|
|
০৯ |
|
|
|
১০ |
|
|
|
পরীক্ষার নাম | সাল | পাশের হার |
এইচ এস সি | ২০০৯ | ৭৭% |
এইচ এস সি | ২০১০ | ৭৯.২৮% |
এইচ এস সি | ২০১১ | ৮৪.৩৭% |
এইচ এস সি | ২০১২ | ৯০.৮৭% |
এইচ এস সি | ২০১৩ | ৮৪.৪৫% |
শিক্ষাবৃত্তি তথ্যসমূহঃ
২০১০ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত - ০৩ জন
২০১১ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত - ০৮ জন
২০১২ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত - ০৬ জন
২০১৩ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত - ১৫ জন
কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১ম অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে কলেজের কৃতি ছাত্র জনাব মছদ্দর আলী মানবিক শাখায় ১ম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে কলেজের আরও চারজন কৃতি ছাত্র কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক শাখায় ১৩তম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৯তম স্থান অধিকার করে কলেজের জন্যে বিরাট সাফল্য বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে ড. মোঃ আব্দুর রব (সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ১৩তম, জনাব আব্দুল মুহিত ১৬তম, জনাব সুলতান মোঃ মনসুর আহমদ (সাবেক সংসদ সদস্য) ১৭তম, জনাব আব্দুল হান্নান ১৯তম স্থান দখল করেন। ১৯৭৬-৭৭ সালে পান্না লাল চৌধুরী (সাবেক সিনিয়র সহকারি সচিব) ১ম স্থান দখল করে কলেজের জন্যে দুর্লভ গৌরব অর্জন করেন। একই বৎসর এ কে এনামুল হক (সাবেক সহযোগি অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ডীন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়) মানবিক শাখায় ১৪তম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন। এ কলেজেরই কৃতি ছাত্র ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মোঃ নজিবুর রহমান বর্তমানে সচিব পরিকল্পনা ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা। তাছাড়া বর্তমান মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র জনাব বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এই কলেজেরই কৃতি ছাত্র ছিলেন।
স্নাতক সম্মান পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিষয় চালু করা এবং শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত ও মানসম্পন্ন কলেজে রূপান্তরিত করা।
ফোন- 0821-760435, ফ্যক্স- 0821-762142
email: principal_sgc@yahoo.com
সিলেট সরকারি কলেজ (পূর্বের এম.সি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ) একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। ১৯৬৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় কলেজের মানবিক শাখার কৃতি ছাত্র ১ম স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে কলেজটির আরোও চারজন কৃতি ছাত্র কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক শাখায় ১৩তম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৯তম স্থান অর্জন করার বিরাট সাফল্য বয়ে আনতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে সিলেট শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে ২০১০ সালে ৯ম স্থান এবং ২০১১ সালে ৮ম স্থান অধিকার করে বিজয়ের দ্বারা অব্যহত রেখেছে। এভাবেই সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গৌরবের মাত্রা বৃদ্ধি করে চলেছে। ২০১০ সালে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় ৯ম এবং ২০১১ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায় ৮ম স্থান অধিকার করার গৌরভ অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গৌরব অর্জন করে চলেছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত জালালাবাদ অঞ্চলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রায় প্রতি বছর অংশ নিয়ে এ্যাটলেথ দল বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ২/১ টি কলেজের ভিতর স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। জালালাবাদ অঞ্চলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ কলেজটি ১৯৭৮, ৭৯, ৮০ ও ৮৩ সালে বিরাট সাফল্য অর্জন করে। তাছাড়া দেশব্যাপি বই পড়া প্রতিযোগিতায় দ্বাদশ শ্রেণির কৃতি ছাত্রী ঝুমা রায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান ও জাতীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে। একই প্রতিযোগিতায় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির কৃতি ছাত্র মধাব চন্দ্র দাস জাতীয় পর্যায়ে ক গ্রুপে ৩য় স্থান অধিকার করে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান শাখার এক দল ক্ষুদে বিজ্ঞানী ৩২তম জাতীয় বিজ্ঞান এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০১১ এ জেলা পর্যায়ে প্রজেক্ট উপস্থাপন করে সিনিয়র গ্রুপে ২য় পুরস্কার লাভ করে। এভাবে ক্রীড়া, শিক্ষা- বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষার্থীদের অবদান প্রশংসার্হ। কলেজের অনেক সুযোগ্য অধ্যক্ষ মহোদয় এবং শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে থানা জেলা বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হবার গৌরব অর্জন করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস