হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের পূণ্যভূমি সিলেট থেকে ১৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত সবুজ শান্ত ও মনোরম পরিবেশে বলাউরা গ্রামে অবস্থিত “ বলাউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। এলাকাটি নিম্ন সমভুমি। এই বিদ্যালয়টি ‘বি’ গ্রেডের। দুই শিফটে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বলাউরা ও কসকালিকা এই দুইটি পাড়া নিয়ে বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকা। এই এলাকার বেশীর ভাগ অভিভাবক কৃষি ও শ্রমজীবি। এই বিদ্যালয়ের ছেলেদের ইউনিফর্ম হলো নীল এর প্যান্ট এ কালো প্যান্ট। মেয়েদের নীল রংয়ের জামা ও সাদা স্যালেওয়ার। ৯৫% ছাত্র-ছাত্রীরা ইউনিফর্ম পরিধান করে স্কুলে পড়াশুনা করতে আসে। বিদ্যালয়টির পূর্বদিকে মসজিদ, পশ্চিমদিকে কৃষি জমি ও উত্তর এবং দক্ষিণ পার্শে জনবসতি।
নং | বিষয় | বিস্তারিত বর্ণনা |
১ | বিদ্যালয়ের নামকরণ | বলাউরা গ্রামের বিশিষ্ট এক দাতা মৃত সাজিদ আলী সাহেব উক্ত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ৩০ শতাংশ ভুমি দানপত্রের মাধ্যমে স্কুলের নামে দিয়ে দেন। যেহেতু তিনি বলাউরা গ্রামের সন্তান ছিলেন সেহেতু সকলের সম্মতিতে উক্ত স্কুলের নাম বলাউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামকরন করা হয়। |
২ | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের পূণ্যভূমি সিলেট থেকে ১৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত সবুজ শান্ত ও মনোরম পরিবেশে বলাউরা গ্রামে অবস্থিত “ বলাউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। এলাকাটি নিম্ন সমভুমি। এই বিদ্যালয়টি ‘বি’ গ্রেডের। দুই শিফটে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বলাউরা ও কসকালিকা এই দুইটি পাড়া নিয়ে বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকা। এই এলাকার বেশীর ভাগ অভিভাবক কৃষি ও শ্রমজীবি। এই বিদ্যালয়ের ছেলেদের ইউনিফর্ম হলো নীল এর প্যান্ট এ কালো প্যান্ট। মেয়েদের নীল রংয়ের জামা ও সাদা স্যালেওয়ার। ৯৫% ছাত্র-ছাত্রীরা ইউনিফর্ম পরিধান করে স্কুলে পড়াশুনা করতে আসে। বিদ্যালয়টির পূর্বদিকে মসজিদ, পশ্চিমদিকে কৃষি জমি ও উত্তর এবং দক্ষিণ পার্শে জনবসতি। |
৩ | প্রতিষ্টাকাল | বলাউরা গ্রামের সন্তান সাজিদ আলী সাহেব নিজ জমিতে ও এলাকার জনগনের এবং নিজের অর্থে সাবেক ইউ/পি সদস্য মৃত রইছ উদ্দিন ও এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী মৃত হানিফ আলী সাহেবের সহযোগিতায় ১৯৭৫ ই সনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি সরকারী করণ করা হয়। |
৪ | ইতিহাস | শিক্ষার আলো না থাকলে সবই অন্ধকার। এই কথাটির মর্ম উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন এই এলাকার সচেতন শিক্ষানুরাগী মৃত সাজিদ আলী। তাই তিনি অত্র এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করার জন্য মনস্থির করেন এলাকার জনগণ এবং মৃত সাজিদ আলী সাহেব।
|
১ম শ্রেণী-৬৮ জন, ২য় শ্রেনী-৬০জন, ৩য় শ্রেণী-৭০ জন, ৪র্থ শ্রেণী-৭৫জন, ৫ম শ্রেণী-৩৭ জন। মোট -৩৪৭ জন ছাত্র-ছাত্রী। শিশু ৩৭ জন
সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখঃ ২১/০৭/২০১১ ইং।
সভাপতিঃমোঃ শামীম মিয়া, পিতা-হাজী মোঃ মাশুক মিয়া,
সহ-সভাপতিঃমোঃ মনফর আলী
সদস্য:মোঃ হারিছ মিয়া,
সদস্য:মোঃ আবুল কালাম,
জমিদাতা:সমরুন নেছা,
বিদ্যুৎসাহী মহিলা:জুলফা বেগম,
মহিলা সদস্য:আয়েশা বেগম,
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি:অসীম রঞ্জন তালুকদার,
অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি:আব্দুল মুতলিব,
ওয়ার্ড মেম্বার:মোঃ মুহিবুর রহমান,
সদস্য সচিব:মায়ারাণী দাস,
২০০৯ সাল –ডি আরভুক্ত ২৫ জন, পাশ-২২ জন, ফেল-১, ৯৯%
২০১০ সাল- ডি আরভুক্ত ৩২ জন, পাশ ২৯ জন, ফেল-৩, ৯৭%
২০১১ সাল- ডি আরভুক্ত ৩৫ জন, পাশ ২২ জন, ফেল-১০/৩, ৬৯%
২০১২ সাল- ডি আরভুক্ত ৪০ জন, পাশ ৩৫ জন, ফেল-১ জন, ৯৯%
২০১৩ সাল- ডি আরভুক্ত ৫০ জন, পাশ-৪৮ জন, ফেল-১, ৯৯%
১৯৮৯ ইং ও ১৯৯৬ ইং সালে ২টি করে মোট ৪টি এবং ২০০৬ ইং সালে ১টি শিক্ষাবৃত্তি আসে।
২০১০ ইং সালে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট-এ ইউনিয়ন পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে রানার্সআপ। ২০১১ ইং সালে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে রানার্সআপ।
২০১১ ইং সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে আঞ্চলিক গানে ১ম স্থান ও উপজেলা পর্যায়ে২য় স্থান অর্জন।
২০১২ ইং সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছবি আঁকা ও উপস্থিত বক্তৃতায় ১ম স্থান এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩য় স্থান অর্জন করে।
২০১৩ ইং সালে আঞ্চলিক গানে , নাচে, বক্তৃতায় ও অভিনয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করে।
২০১৪ ইং সালে অংক দৌড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ম স্থান ও উপজেরা পর্যায়ে ১ম স্থান এবং জেলা পর্যায়ে ২য় স্থান অর্জন করে।
ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পড়ালেখার মান বাড়ানোর পাশাপাশি উক্ত বিদ্যালয়টিকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। যাহা আলোচনায় প্রক্রিয়াধীন।
০১ | অবকাঠামো | বিদ্যালয়টির একতলা বিশিষ্ট ২টি ভবন আছে।ইহাতে ১টি অফিস কক্ষ এবং ৫টি শ্রেণী কক্ষ আছে। প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের আয়তন ১৭ ফুট বাই ২০ ফুট। বিদ্যালয়টিতে ৬৫ জোড়া বেঞ্চ. ১৫টি চেয়ার, ১২টি টেবিল, ৩টি ষ্টীল আলমীরা আছে। তাছাড়া ৩টি সৌচগারও আছে। ১টি ডিপ টিউবওয়েল আছে যাহা অত্যাধুনিকভাবে ষ্তাপন করা হয়েছে। |
০২ | ভূমির পরিমাণ | মোট ৪৮ শতাংশ ভুমি নিয়ে বর্তমান স্কুলের সীমানা নির্ধারিত আছে। যেগুলোর খতিয়ান নং-৭১২, ৭২৭, দাগ নং- ৪৬৪১, ৪৬৪৬, ৪৬১৭, ৪৬৪০। |
০৩ | প্রতিষ্টিত বিগত ছাত্র-ছাত্রী | এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মোঃ শাহনুর আলম, বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
আরেক প্রাক্তন ছাত্র মোঃ খলিলুর রহমান, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করে ডাক্তারী পেশায় নিয়োজিত আছে।
প্রাক্তন ছাত্র মোঃ শামীম মিয়া, Computer Engineer. কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজের সহিত কর্মরত আছেন।
তাছাড়া আরো অনেক ছাত্র-ছাত্রী উল্লেখিত স্কুল থেকে পাশ করে সমাজ সেবা মুলক বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কর্মরত আছেন। |
বলাউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বলাউরা ও কসকালিকা গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্থিত। স্কুলে আসার রাস্তাও ২টি। বলাউরা বাজার পয়েন্ট থেকে কসকালিকা গ্রামের অভ্যন্তরে বলাউরা-কসকালিকা জামে মসজিদের পাশ দিয়ে স্কুলে আসার রাস্তা আছে। তাছাড়া বলাউরা গ্রামের প্রধান সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে বা হেটে স্কুলে আসা-যাওয়ার রাস্তা আছে।
এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মোঃ শাহনুর আলম, বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
আরেক প্রাক্তন ছাত্র মোঃ খলিলুর রহমান, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করে ডাক্তারী পেশায় নিয়োজিত আছে।
প্রাক্তন ছাত্র মোঃ শামীম মিয়া, Computer Engineer.
কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজের সহিত কর্মরত আছেন।
তাছাড়া আরো অনেক ছাত্র-ছাত্রী উল্লেখিত স্কুল থেকে পাশ করে সমাজ সেবা মুলক বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কর্মরত আছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস