Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে সিলেট সদর উপজেলা

 

উপজেলার উৎপত্তি, নামকরণ ও উপজেলা সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সুরমা নদীর তীরে গড়ে ওঠা সিলেট সদর উপজেলার দূর অতীতের ইতিহাস নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রাচীন যুগে শ্রীহট্ট নামে একটি পৃথক রাষ্ট্রের অসিত্মত্ব ছিল এবং কিছু কালের জন্য এ এলাকাটি ‘হরিকেল’ নামেও পরিচিত ছিল। সপ্তম শতাব্দীতে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ভারত ভ্রমণের সময় সাগর তীরে অবস্থিত এ এলাকাটিকে ‘শিলিচট্টল’ বলে উলেস্নখ করেছেন। দশম শতাব্দীতে বাংলায় চন্দ্র বংশের রাজত্বকালে রাজা শ্রীচন্দ্রের অধীনে শ্রীহট্টমন্ডল নামে প্রশাসনিক বিভাগ গড়ে উঠেছিল যা সামন্ত রাজাদের দ্বারা শাসিত হতো। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই শ্রীহট্ট মন্ডলথেকেই কালক্রমে শ্রীহট্ট বা সিলহেট (Sylhet) এবং পরিশেষে ‘সিলেট’ নামের উৎপত্তি হয়েছে।

ষষ্ঠথেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে এখানে মানুষের বসবাস বাড়তে থাকে এবং এ সময় এ এলাকায় একটি সভ্যতা গড়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত শাহজালাল (রঃ) কর্তৃকরাজা গৌড়গোবিন্দকে পরাজিত করে সিলেট বিজয়ের পর সিলেট মুসলমান সুলতানদের অধীনে চলে আসে। ১৭৭২ সালেকোম্পানি আমলে এটা সদরে রূপান্তরিত হয়।

১৮৭৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত সিলেট ছিল ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ১৮৭৪ সালের ১২সেপ্টেম্বর সিলেটকে নবসৃষ্ট আসাম প্রদেশের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত সিলেট আসামেরই একটিজেলা হিসেবেথেকে যায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর সিলেট পূর্ব পাকিস্তানের একটিজেলায় পরিণত হয়। পাকিস্তান আমলে সিলেট জেলা ৪টি মহকুমায় বিভক্ত ছিল, যথা : সিলেট সদর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ।

স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর সিলেট জেলার উক্ত ৪টি মহকুমাজেলায় উন্নীত হয় এবং পুনর্গঠিত হয় সিলেটজেলা। পুনর্গঠিত সিলেটজেলায় তখন ১১ টি থানা (প্রশাসনিক ইউনিট অর্থে, পুলিশস্টেশন অর্থে নয়) ছিল। বলা বাহুল্যযে প্রতিটি প্রশাসনিক থানায় প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম তদারক, সমন্বয় ও বাসত্মবায়নকরতেন সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন)। প্রসঙ্গত উলেস্নখ করা যেতে পারে, বর্তমান সিলেট জেলায় ১২টি উপজেলা রয়েছে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নীতিমালার আওতায় সর্বশেষ সৃষ্ট উপজেলা দক্ষিণ সুরমা।

১৯৮২ সালে সকল প্রশাসনিক থানাকে ‘মানোন্নীত’ (Upgraded Thana) করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮২ সনের স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন পুনর্গঠন) অধ্যাদেশবলে সকল প্রশাসনিক থানাকে (মানোন্নীত থানা) ‘উপজেলা’ নামকরণ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ১৯৮৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তারিখে ‘সিলেট সদর থানা’ ‘সিলেট সদর উপজেলা’ হিসেবে নামান্তরিত হয়।

 

উপজেলার অবস্থান :উত্তরেকোম্পানীগঞ্জ এবংগোয়াইনঘাট উপজেলা পূর্বেগোলাপগঞ্জ এবং কানাইঘাট উপজেলা দক্ষিণে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পশ্চিমে বিশ্বনাথ উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা।

 

উলেস্নখযোগ্য স্থান বা স্থাপনা

ক. হযরত শাহজালাল (রঃ) এর দরগাহ্ কমপেস্নক্স

বিশ্বখ্যাত ধর্ম প্রচারক ও সুফী সাধক হযরত শাহজালাল (রঃ) -এর মাজার সিলেট শহরের এক অনবদ্য পুরাকীর্তি এবং দর্শনীয় স্থান। ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত শাহজালাল (রঃ) সিলেটে আসেন। সিলেট শহরের উত্তর দিকে একটি অনুচ্চ পাহাড়ের ওপর তাঁর মাজার অবস্থিত। সমাধিসৌধগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে এটি সর্বাধিক গুরম্নত্বের অধিকারী। এ দরগার প্রবেশ পথের ওপরে একটি শিলালিপি রয়েছে যাতে উৎকীর্ণ করা আছেযে, খালিস খান ৯১১ হিজরীতে (১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দ) সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের আমলে এই পবিত্র ইমরাত নির্মাণ করেন। এখানকার মসজিদটি ১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দে তৈরি। প্রতি বছর জিলক্বদ মাসের ১৯ ও ২০ তারিখে পালন করা হয় হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর ওরস মোবারক। এ ছাড়াও সারা বছর ধরেদেশ বিদেশের পর্যটকগণ এ মাজার পরিদর্শনে আসেন এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলশ্রেণির মানুষ তাঁদের হৃদয়নিংড়ানো ভক্তি ও শ্রদ্ধা এই মহামানবের পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে উজাড় করে দিয়ে নিজেদের কৃতার্থ মনে করেন। অনেকে মনোবাঞ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন মানত ও দান।

 

খ. হযরত শাহ্পরাণ (রঃ)-এর মসজিদ ও দরগাহ্

তাপসকূল শিরোমণি হযরত শাহ্পরাণ (রঃ) শায়িত আছেন সিলেটের খাদিমপাড়ায়। সিলেট শহরের প্রায় ৮ কি. মি. পূর্ব দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কথেকে প্রায় ০.৩ কি. মি. ভিতরে সু-উচ্চ ও মনোরম টিলায় অবস্থিত হযরত শাহ্ পরাণ (রঃ)-এর মসজিদ ও দরগাহ্। মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে সমাধিটি।

 

শাহ্পরাণ মসজিদটি আয়তকার তিন গম্বুজবিশিষ্ট এবং এরদেয়াল চার ফুট চওড়া, মসজিদটির বহির্ভাগে চারকোণে চারটি অর্ধগোলাকৃতির পার্শ্ব বুরম্নজ রয়েছে। এ মসজিদটির শিলালিপিভিত্তিক নির্মাণকাল পাওয়া যায়নি। তবে সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত বলে অনুমিত। অতিসম্প্রতিজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর নির্দেশনায় মহিলাদের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘মহিলা এবাদতখানা’।

 

গ. শাহী ঈদগাহ্

সিলেট শহরের উত্তর -পূর্ব প্রামেত্ম পাহাড়েরকোলঘেষে অবস্থিত ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ্ মাঠ। ঈদগাহ্ প্রাঙ্গণের চারিদিক প্রাচীর দ্বারাবেষ্টিত। এটি সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ্ মাঠ। সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত এটি সিলেটের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক নিদর্শন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে তদানীন্তন সিলেটেরফৌজদার ফরহাদ খাঁর উদ্যোগে এটি নির্মিত হয়। ঈদগাহে রয়েছে ২২টি সিঁড়ি।

 

ঘ. ক্বীন ব্রি

সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি কমিটি ১৮৮৫ সালে গঠিত হয়। এ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৩৭ সালে সুরমা নদীর উপরলোহারসেতু তৈরি করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৫৬ লক্ষ টাকা। আসাম প্রদেশের তৎকালীন চিফ কমিশনার মাইকেল ক্বীন-এর নাম অনুসারে এসেতুর নামকরণ করা হয় ক্বীন ব্রিজ।

 

এক নজরে সিলেট সদর উপজেলা

উপজেলার আয়তন                          : ৩০৫.৭০ বর্গ কি.মি.

জনসংখ্যা                                   : ২,২৭,১২৫ জন,   পুরুষ : ১,১৭,৭৩১ জন, মহিলা : ১,০৯,৩৯৪ জন।

জনসংখ্যার ঘনত্ব                            : ১৩১৮ জন প্রতি বর্গ কি.মি.

নির্বাচনী এলাকা                              : সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং সিলেট সদর উপজেলা   নিয়ে সিলেট-১ নির্বাচনী এলাকা গঠিত

থানা                                        : ০১ টি; কোতোয়ালী মডেল থানা, এসএমপি, সিলেট।

ইউনিয়ন সংখ্যা                              : ০৮ টি

মৌজা                                      : ৭৯ টি

সরকারি হাসপাতাল                         : ০৪ টি

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র                         : ০৩টি

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র  : ০৭ টি

কমিউনিটি ক্লিনিক                          : ২০ টি

 

 

বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার

কাজী মহুয়া মমতাজ      : ২৩-০৫-২০১৯ হতে

 

উপজেলা/থানা নির্বাহী অফিসারবৃন্দের নাম ও কার্যকাল

 

১. জনাব মোঃআবু হাফিজ               : ০১-১২-১৯৮৩ হতে ১৯-০৩-১৯৮৪

২. জনাব আজিজুর রব মজুমদার          : ১৯-০৩-১৯৮৪ হতে ১৮-০৮-১৯৮৫

৩. জনাব রফিক উদ্দিন মোলস্না           : ১৮-০৮-১৯৮৫ হতে ০৩-১১-১৯৮৬

৪. জনাব মোস্তাফিজুর রহমান            : ০৩-১১-১৯৮৬ হতে ১৮-০১-১৯৮৮

৫. জনাব আ.ফ.ম সোলায়মানচৌধুরী    : ২১-০১-১৯৮৮ হতে ০১-০৭-১৯৯২

৬. বেগম রাজিয়াবেগম                     : ০১-০৭-১৯৯২ হতে ১৯-০৪-১৯৯৪ 

৭. জনাব মাহমুদুল করিম                  : ২৪-০৯-১৯৯৪ হতে ৩০-০৩-১৯৯৫ 

৮. জনাব এ, টি, এম মোসত্মফা কামাল   : ৩০-০৩-১৯৯৫ হতে ২৪-১০-১৯৯৬

৯. জনাবমোঃআরফান আলী             : ২৪-১০-১৯৯৬ হতে ১৮-০৮-১৯৯৭ 

১০. জনাব সরফুদ্দীন খান জিলানী         : ১৯-০৮-১৯৯৭ হতে ২৭-০৯-১৯৯৯

১১. বেগম নাজমাবেগম                    : ০৩-১০-১৯৯৯ হতে ২২-১১-২০০০  

১২. জনাব আবু আল হেলাল                : ২২-১১-২০০০ হতে ২২-০৪-২০০১

১৩. জনাব কাজী আব্দুননুর               : ০৯-০৫-২০০১ হতে ০৪-০৯-২০০৩ 

১৪. জনাব মোঃফজলুল বারী             : ১৮-০৯-২০০৩ হতে ০৩-০৮-২০০৬ 

১৫. বেগম বদরম্নন নাহার                 : ১৩-০৮-২০০৬ হতে ২৮-০৮-২০০৮ 

১৬. জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান        : ৩১-০৮-২০০৮ হতে ১৭-০৩-২০০৯ 

১৭. সৈয়দা আমিনা ফাহমীন               : ১৭-০৩-২০০৯ হতে ২৩-০৪-২০০৯ 

১৮. জনাব এনামুল হাবীব                   : ২৮-০৪-২০০৯ হতে ১৩-০৯-২০১১ 

১৯. খন্দকার মনোয়ার মোর্শেদ           : ১৯-১০-২০১১ হতে ১৮-০৫-২০১৪

২০. মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান   : ০৫-০৬-২০১৪ হতে ২৯-১২-২০১৬

২১. কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী         : ০৮-০১-২০১৭ হতে ০৪-১০-২০১৭

২২. সিরাজাম মুনিরা                        : ০৪-১০-২০১৭ হতে ২০-০৫-২০১৯ 

২৩. কাজী মহুয়া মমতাজ                 : ২৩-০৫-২০১৯ হতে বর্তমান